ফেলা
গোঁসাইয়ের মেলাঃ খলিসাখালী, নড়াইল
প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার ফেলা গোঁসাইয়ের মেলা হয়। কতদিন আগে এই
মেলা চালু হয়েছে তা সঠিক জানা নাই, তবে ফেলা গোঁসাইয়ের প্রাক যৌবন কালে চালু হয় বলে
গ্রামের লোকেরা বলে থাকে। বাড়ী একটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরে দুর্গামূর্তি আছে। বৈশাখ
মাসের শেষ বুধবার মতুয়া মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে মতুয়া দল আগমন করে। অত্র অঞ্চলের
সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত মেলা।
ছোটবেলা থেকেই ফেলা একটু পাগলাতে স্বভাবের। একটু আনমনা। কিংবদন্তি আছে যে, ফেলা গোঁসাইয়ের গোঁসাই হওয়ার কাহিনী নিয়ে। একটি প্রচলিত কাহিনী এরকম। একবার ফেলার বাড়ী জ্ঞাতিভোজ উপলক্ষে ভাবগান হবে। গান বিকালে শুরু হবে। সকাল থেকে মেঘ আকাশে। এমন অবস্থা যে এখন নামে কি তখন নামে বৃষ্টি। দুপুর হতে না হতে নিমন্ত্রিত অতিথি ও ভক্তগণ আসতে শুরু করে। একদিকে ভাবগান, অন্যদিকে জ্ঞাতিভোজ। লোকে লোকারণ্য। কাল মেঘে ছেয়ে আছে চারিদিক। চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। গ্রামের ও বাড়ীর কর্তা ব্যক্তিরা চিন্তা করে পারছেন না, কি উপায় হবে? এসময় গোঁসাইকে সবাই বলে ফেলা কি হবে? এত লোকজন, বৃষ্টি যদি আসে। এসময় ফেলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে। মেঘ দেখে তার মাথা খারাপ হওয়ার উপক্রম। দিক্বিদিক চিন্তা না করে সে সহসা দৌড় দেয়। বাড়ীর উত্তর পাশে বিলের মাঝে চলে যায়, যেখানে রাস্তা শেষ। মরাখালের রাস্তা। রাস্তার শেষে এসে মা কালীর শিবোপরি দণ্ডায়মান মূর্তির ন্যায় জিহ্বা বের করে উত্তর মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। মুখে কিছু বলে না। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর দেখা গেল যে বরাবর ফেলা দাঁড়িয়েছিল সেই বরাবরে মেঘ চিরে দু'খণ্ড হয়ে দু'দিকে চলে যাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে চারিদিকে। কিন্তু ফেলার বাড়ী এবং ফেলার বাড়ীতে আগমনরত ভক্তগণ যেসব এলাকায় ছিল, সে সব এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি পড়ে, কিন্তু অন্যত্র প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায়। গোঁসাইয়ের অনুষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে হয়ে গেল। লোকে অবাক হয়ে দেখল ফেলার এসব কাহিনী। এরপর থেকেই ফেলা গোঁসাই নামে খ্যাত হয়। নাম হয় ফেলা গোঁসাই।
আরেকটি কাহিনী আছে, এটা গোঁসাই হওয়ার পূর্বে। তখন ফেলা সহ তিনজন লোক একটু পাগলাটে ভাব করে বেড়াত। রামনগরচর গ্রামের কয়েকজন ভাবল, কে আসল পাগল এটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সে মতে একদিন রাতে তিন পাগল রামনগরচর গ্রামে গেলে গ্রামের এক মুরুব্বী চুলা থেকে তিনখণ্ড কাঠের আগুন এনে তিনজনকে ধরে থাকতে বলে। ফেলা গোঁসাই নির্বিকার চিত্তে আগুন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু বাকী দু'জন ভয় পেয়ে আগুন ধরে না। এখান থেকে ফেলাকে সকলে মান্য করতে শুরু করে।
গত দুবছর আগে ফেলা গোঁসাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
ছোটবেলা থেকেই ফেলা একটু পাগলাতে স্বভাবের। একটু আনমনা। কিংবদন্তি আছে যে, ফেলা গোঁসাইয়ের গোঁসাই হওয়ার কাহিনী নিয়ে। একটি প্রচলিত কাহিনী এরকম। একবার ফেলার বাড়ী জ্ঞাতিভোজ উপলক্ষে ভাবগান হবে। গান বিকালে শুরু হবে। সকাল থেকে মেঘ আকাশে। এমন অবস্থা যে এখন নামে কি তখন নামে বৃষ্টি। দুপুর হতে না হতে নিমন্ত্রিত অতিথি ও ভক্তগণ আসতে শুরু করে। একদিকে ভাবগান, অন্যদিকে জ্ঞাতিভোজ। লোকে লোকারণ্য। কাল মেঘে ছেয়ে আছে চারিদিক। চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। গ্রামের ও বাড়ীর কর্তা ব্যক্তিরা চিন্তা করে পারছেন না, কি উপায় হবে? এসময় গোঁসাইকে সবাই বলে ফেলা কি হবে? এত লোকজন, বৃষ্টি যদি আসে। এসময় ফেলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে। মেঘ দেখে তার মাথা খারাপ হওয়ার উপক্রম। দিক্বিদিক চিন্তা না করে সে সহসা দৌড় দেয়। বাড়ীর উত্তর পাশে বিলের মাঝে চলে যায়, যেখানে রাস্তা শেষ। মরাখালের রাস্তা। রাস্তার শেষে এসে মা কালীর শিবোপরি দণ্ডায়মান মূর্তির ন্যায় জিহ্বা বের করে উত্তর মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। মুখে কিছু বলে না। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর দেখা গেল যে বরাবর ফেলা দাঁড়িয়েছিল সেই বরাবরে মেঘ চিরে দু'খণ্ড হয়ে দু'দিকে চলে যাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে চারিদিকে। কিন্তু ফেলার বাড়ী এবং ফেলার বাড়ীতে আগমনরত ভক্তগণ যেসব এলাকায় ছিল, সে সব এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি পড়ে, কিন্তু অন্যত্র প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায়। গোঁসাইয়ের অনুষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে হয়ে গেল। লোকে অবাক হয়ে দেখল ফেলার এসব কাহিনী। এরপর থেকেই ফেলা গোঁসাই নামে খ্যাত হয়। নাম হয় ফেলা গোঁসাই।
আরেকটি কাহিনী আছে, এটা গোঁসাই হওয়ার পূর্বে। তখন ফেলা সহ তিনজন লোক একটু পাগলাটে ভাব করে বেড়াত। রামনগরচর গ্রামের কয়েকজন ভাবল, কে আসল পাগল এটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সে মতে একদিন রাতে তিন পাগল রামনগরচর গ্রামে গেলে গ্রামের এক মুরুব্বী চুলা থেকে তিনখণ্ড কাঠের আগুন এনে তিনজনকে ধরে থাকতে বলে। ফেলা গোঁসাই নির্বিকার চিত্তে আগুন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু বাকী দু'জন ভয় পেয়ে আগুন ধরে না। এখান থেকে ফেলাকে সকলে মান্য করতে শুরু করে।
গত দুবছর আগে ফেলা গোঁসাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
No comments:
Post a Comment