মতুয়াদের কর্তব্য কর্ম ও পবিত্র ধর্ম কি?

                  মতুয়াদের কর্তব্য কর্ম ও পবিত্র ধর্ম কি?

.                                                                        
হরিচাঁদ ঠাকুর কার্ল মার্কসের ছয় বছর পূর্বে ধরাধামে আবির্ভূত হন, এবং দলিত পতিত পীড়িত সর্বহারাদের দুঃখে বিগলিত হয়ে সর্ব প্রথমে শ্রেণী বৈষম্য এবং মাৎস্যন্যায়ের তত্ত্ব প্রদান করেছেন। পরম দয়াল পতিত পাবন হরিচাঁদ ঠাকুরের সেই ধর্মাদর্শ, ভাবাদর্শ এবং মতাদর্শ জগতবাসী
কিন্তু আজ পর্যন্ত জানে না, তার মহামূল্যবান তত্ত্বের কথা জগৎ বাসীকে জানানাে হরিভক্ত মতুয়ায়াদের একমাত্র পরম কর্তব্য। এই পবিত্র কর্তব্যে অবহেলা করলে বিশ্বব্যাপী দলিত - পতিত - সর্বহারাদের গণের 
মুক্তি লাভের আর কোন সম্ভাবনা নেই। কর্তব্য কর্মে অবহেলা করে শুধুমাত্র নামে-প্রেমে মত্ত হয়ে থাকলে চলবে না; তাইতাে গুরুচাঁদ ঠাকুর বলেছেন -"যেই প্রেম কর্তব্যেরে অবহেলা করে। মােহ নাম ধরে তাহা
পৃথিবী ভিতরে।।(গুরুচাঁদ চরিত- ৩৮৫). ধর্মের মােহ, মােক্ষ লাভের মােহ, পরকালে স্বর্গে অনন্ত সুখ ভােগের মােহ, পূণ্য সঞ্চয়ের মােহ ত্যাগ করে ; ইহ কালে এই মর্ত্যধামকে স্বর্গে পরিনত করা এবং সমগ্র মানব
সমাজকে দেবত্বে উত্তোরনের যে কর্তব্য, সেই নিঃস্বার্থ পরােপকারের কর্তব্য কর্মই মতুয়াদের পবিত্র ধর্ম। এই ধর্মাদর্শ শিক্ষা দেওয়ার জন্যইতাে পতিত পাবন হরিচাঁদ ঠাকুর তাঁর ভক্ত গােলক কীৰ্ত্তনীয়াকে বলেছিলেন - "বাছা ধর্ম-কর্ম ছাড়। সর্ব ধর্ম হতে শ্রেষ্ঠ পর উপকার।।"
দলিত পতিত শােষিত বঞ্চিত সর্বহারা শ্রমজীবীদের গণমুক্তি প্রদানের কর্ম। তাইতাে গুরুচাঁদ ঠাকুরের নির্দেশ সদা সর্বদা মনে রাখতে হবে।"শুধু গুনগান নয় ধর্মের সার, তৎপ্রীতি কাম হেতু কর্ম কর তার। পতিত।
তারক পদে যদি থাকে ভক্তি, প্রাণ দিয়ে কর সবে পতিতের মুক্তি।। "