"আজন্ম পতিত তোরা মূর্খ অতিশয়।
মানব জীবন তত্ত্ব চিনলি না হায়।।"
মানব জীবন তত্ত্ব চিনলি না হায়।।"
কারণ- কিছু স্বার্থেন্বেষী মানুষ, কাজ না করে পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য, ধর্মশাস্ত্রের দোহাই দিয়ে এবং ধর্ম শাস্ত্রের সত্য ঘটনাকে বিকৃত করে স্বর্গের লোভ দেখিয়ে, নরকের ভয় দেখিয়ে, ভাগ্যের দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষদের পতিত বানিয়ে, তাদের আসল পরিচয় ভুলিয়ে রেখেছে। তাদের পতিত হওয়ার কারণ তারা জানে না,বোঝে না,তাই ক্ষোভের সঙ্গে ঐ কথা বলেছিলেন। গুরুচাঁদ ঠাকুর যখন পাতিত্যের কারণ গুলি ব্যাখ্যা করতে আরম্ভ করেছিলেন এবং তা দূর করার জন্য কাজ আরম্ভ করেছিলেন, এবং সেই কাজে হরিভক্ত সহ সমগ্র জনগনকে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন করেছিলেন, তখন সারা দেশের আপামর জনগনের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া পড়ে গিয়েছিল। জন-জাগরনের সেই জোয়ার আজ পর্যন্ত থামেনি।
পাতিত্যের সেই কারন গুলি দূর করতে গিয়ে - গুরুচাঁদ ঠাকুর > পতিত সমাজের মধ্যে জন জাগরনের জোয়ার সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছিলেন নিরক্ষরতা এবং দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তির আন্দোলনই তার মধ্যে প্রধান। কান টানেল যেমন মাথা আসে, তেমনি এই দুইটি আন্দোলনের মূল ধরে টান দিলে, ভারতবর্ষের সামাজিক, আর্থিক, মানসিক এই ত্রিবিধ বন্ধন থেকে মুক্তির কথাও যেমন এসে পড়ে তেমনি ব্রাহ্মণ্যবাদ,জন্মগত জাতভাগ এবং ব্যভিচার, ভ্রষ্টাচার রূপ মহাপাপের হাত থেকে মুক্তির কথাও বাদ যায় না। গুরুচাঁদের ধর্ম আন্দোলন, তারজন্য সুদুরপ্রসারি আন্দোলন, সমাজ রূপান্তরের বৈপ্লবিক আন্দোলন। পতিতদের মুক্তির আন্দোলন। দেবাসুরের যুদ্ধে (আর্য অ-আর্যদের যুদ্ধে ) পরাজিত রসাতলবাসীরাই ভারতের আদি দলিত পতিত মানুষ। দলন করে দমন করা হয়েছিল বলেই দলিত ; আর শিল্প সংস্কৃতি, ধর্ম -কর্মের সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখার ফলে সৃজন-শক্তি হারা হয়েছিল বলে অনাবাদি অর্থে পতিত। ফলে দেবতা এবং অসুরদের(আর্য এবং অ-আর্য) সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি।
মহাকালের প্রভাবে, স্হান কাল এবং পাত্রভেদে, প্রাচীন যুগের বহু উপাদান ও বৈশিষ্ট্যের বহুবিধ পরিবর্তন হয়েছে ; তাই বর্তমানে দেবতা এবং অসুরদের চিনতে, বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। পশুপালক যাযাবর আর্য দেবতারা এদেশের মানুষদের মানুষ বলেই মনে করতো না। তাই এদেশের কৃষিজীবী মূল নিবাসী ভারতীয়দের অসুর, দৈত্য, রাক্ষস,বানর, হনুমান ইত্যাদি নামে অভিহিত করে বিভিন্ন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে রেখেছে। (বৈদিক যুগে চতুবর্ণের মধ্যে যাদের শূদ্রবর্ণে স্থান দিয়ে উচ্চ তিন বর্ণের শ্রমদাসে পরিনত করা হয়েছিল তারাই বর্তমান যুগের দলিত পতিত শোষিত বঞ্চিত সর্বহারা শ্রমজীবী মানুষ। আর প্রাচীন যুগের দেবতারাই বর্তমান যুগের রাজা,মহারাজা, জমিদার, জোতদার, ধনিক, বণিক শোষক শ্রেণির মানুষ।
পাতিত্যের সেই কারন গুলি দূর করতে গিয়ে - গুরুচাঁদ ঠাকুর > পতিত সমাজের মধ্যে জন জাগরনের জোয়ার সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছিলেন নিরক্ষরতা এবং দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তির আন্দোলনই তার মধ্যে প্রধান। কান টানেল যেমন মাথা আসে, তেমনি এই দুইটি আন্দোলনের মূল ধরে টান দিলে, ভারতবর্ষের সামাজিক, আর্থিক, মানসিক এই ত্রিবিধ বন্ধন থেকে মুক্তির কথাও যেমন এসে পড়ে তেমনি ব্রাহ্মণ্যবাদ,জন্মগত জাতভাগ এবং ব্যভিচার, ভ্রষ্টাচার রূপ মহাপাপের হাত থেকে মুক্তির কথাও বাদ যায় না। গুরুচাঁদের ধর্ম আন্দোলন, তারজন্য সুদুরপ্রসারি আন্দোলন, সমাজ রূপান্তরের বৈপ্লবিক আন্দোলন। পতিতদের মুক্তির আন্দোলন। দেবাসুরের যুদ্ধে (আর্য অ-আর্যদের যুদ্ধে ) পরাজিত রসাতলবাসীরাই ভারতের আদি দলিত পতিত মানুষ। দলন করে দমন করা হয়েছিল বলেই দলিত ; আর শিল্প সংস্কৃতি, ধর্ম -কর্মের সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখার ফলে সৃজন-শক্তি হারা হয়েছিল বলে অনাবাদি অর্থে পতিত। ফলে দেবতা এবং অসুরদের(আর্য এবং অ-আর্য) সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি।
মহাকালের প্রভাবে, স্হান কাল এবং পাত্রভেদে, প্রাচীন যুগের বহু উপাদান ও বৈশিষ্ট্যের বহুবিধ পরিবর্তন হয়েছে ; তাই বর্তমানে দেবতা এবং অসুরদের চিনতে, বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। পশুপালক যাযাবর আর্য দেবতারা এদেশের মানুষদের মানুষ বলেই মনে করতো না। তাই এদেশের কৃষিজীবী মূল নিবাসী ভারতীয়দের অসুর, দৈত্য, রাক্ষস,বানর, হনুমান ইত্যাদি নামে অভিহিত করে বিভিন্ন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে রেখেছে। (বৈদিক যুগে চতুবর্ণের মধ্যে যাদের শূদ্রবর্ণে স্থান দিয়ে উচ্চ তিন বর্ণের শ্রমদাসে পরিনত করা হয়েছিল তারাই বর্তমান যুগের দলিত পতিত শোষিত বঞ্চিত সর্বহারা শ্রমজীবী মানুষ। আর প্রাচীন যুগের দেবতারাই বর্তমান যুগের রাজা,মহারাজা, জমিদার, জোতদার, ধনিক, বণিক শোষক শ্রেণির মানুষ।
No comments:
Post a Comment